স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদে রাখার ৬ কৌশল

স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় চোখ নিরাপদে রাখার ৬ কৌশল

কল করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসহ ভিডিও দেখার সুযোগ থাকায় অনেকেই প্রতিদিন দীর্ঘ সময় টানা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কেউ আবার রাতে ঘরের আলো কমিয়ে স্মার্টফোনে সিনেমা দেখেন। এতে ফোনের পর্দা থেকে নিঃসরিত নীল আলো চোখের ওপর বাড়তি চাপ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় কিছু কৌশল মেনে চললে চোখ নিরাপদে রাখা যায়।

নীল আলোর নিঃসরণ কমানো

স্মার্টফোনের পর্দা থেকে বেরোনো নীল আলো চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এ জন্য ফোনের ডিসপ্লে সেটিংস থেকে ব্লু লাইট ফিল্টার চালু করে রং ও উজ্জ্বলতা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের পর্দা থেকে কম নীল আলো বের হবে, ফলে চোখের ক্ষতি হবে না।

পর্দার উজ্জ্বলতায় ভারসাম্য আনা

স্মার্টফোনের বেশি উজ্জ্বল বা একেবারেই অনুজ্জ্বল পর্দা—কোনোটাই চোখের জন্য ভালো নয়। এগুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। তাই স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস লেভেল এমন রাখতে হবে, যাতে ফোনে সব সময় ভালোভাবে ছবি বা ভিডিও আরামে দেখা যায়।

২০/২০/২০ নিয়ম অনুসরণ করা

স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য ২০/২০/২০ নামে একটি নিয়ম রয়েছে। এ নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ২০ মিনিট পরপর ব্যবহারকারীকে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য অন্তত ২০ ফুট দূরের কিছু দেখতে হবে। এ পদ্ধতি চোখকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে।

নাইট মোড চালু

নাইট মোডে স্মার্টফোনের পর্দার পটভূমি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং লেখাগুলো সাদা দেখায়। ফলে অন্ধকারে অতিরিক্ত আলো ছাড়াই পর্দার লেখা বা ছবি ভালোভাবে দেখা যাওয়ায় চোখের ওপর চাপ পড়ে না। বর্তমানে বেশির ভাগ স্মার্টফোনে নাইট মোড সুবিধা রয়েছে।

নিয়মিত চোখের পলক ফেলা

নিয়মিত পলক ফেলার ফলে চোখের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চোখের ওপর চাপ কমে। স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্রতি আধা ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ বার ১ সেকেন্ড সময় ধরে চোখের পলক ফেলতে হবে।

বিরতি নেওয়া

টানা স্মার্টফোন ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ তৈরি হয়। পর্দায় কাটানো সময় বা স্ক্রিন টাইম নির্ধারণ করার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া অপ্রয়োজনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আপনার প্রতিক্রিয়া কি?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow